উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
ইয়াবা ব্যবসায় লাভজনক হওয়ায় সাতকানিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার নারীরা নিষিদ্ধ ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়াচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) নুরে আলম মিনা। গতকাল বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা উন্নয়ন কমিটির মাসিক সমন্বয় সভায় তিনি এ দাবি করেন।
কক্সবাজারের টেকনাফে চেকপোস্ট বসানোর ফলে চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চল বাঁশখালী, আনোয়ারা, মীরসরাইয়ের নদীপথে মাছধরার নৌকাকে ব্যবহার করে মায়ানমার থেকে ইয়াবা আনা হচ্ছে বলেও দাবি করেন জেলা পুলিশ সুপার।
এসপি নুরে আলম মিনা বলেন, ‘আগে টেকনাফ দিয়ে মায়ানমার থেকে ইয়াবা আনতো ব্যবসায়ীরা। টেকনাফে চেকপোস্ট বসানোর ফলে সুবিধা করতে না পেরে তারা এখন উপকূলীয় অঞ্চল আনোয়ারা, বাঁশখালী, মীরসরাইয়ের নদীঘাট দিয়ে মাছধরার নৌকা ও ট্রলার দিয়ে ইয়াবা আনছে।’
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘ইয়াবাসহ সকল মাদকদ্রব্য বন্ধ করার দায়িত্ব মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ওপর থাকলেও জেলা পুলিশ আলাদা একটা অভিযানিক টিম দিয়ে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নির্মূল করার চেষ্টা করছে।’
২৩ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপরীক্ষা এবং ২৩ থেকে ২৫ ডিসেম্বর হাটহাজারীতে ইজতেমা ও ফটিকছড়িতে মাইজভাণ্ডার ওরশ শুরু হবে বিধায় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তা ব্যবস’া নেওয়ার কথাও জানান এসপি।
সভায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মেট্রো উপ-পরিচালক আলী আসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সীমিত সংখ্যক জনবল নিয়ে সাধ্যমতো কাজ করছি। জেলায় মাত্র তিনজন কর্মকর্তা দিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করি। সবাই মিলে সহায়তা না করলে সমাজ থেকে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। তিনি জানান, ‘একজন মা অভিযোগ করেন, তার ছেলে এমবিবিএস পাশ করে বিসিএস হয়েও মাদকাসক্ত।’
চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে সভায় স’ানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম, চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) রেজাউল মাসুদ, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. অজয় কুমার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাহাব উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তারা উপসি’ত ছিলেন।
পাঠকের মতামত